হামদ-নাত-গজল ও কবিতাপাঠের মধ্যি দিয়ে ভোরের আলো সাহিত্য আসরের ১১৮৭ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক ও নিউজসেভেনটিন অনলাইন ভার্সনের সম্পাদক ও প্রকাশক হাজী আবু সাঈদের সভাপতিত্বে সকাল ১০ঘটিকায় এ আসর অনুষ্ঠিত হয়। কিশোরগঞ্জ মডেল থানা সংলগ্ন থানা মার্কেটের মডার্ণ ডেন্টালে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ভোরের আলো সাহিত্য আসরের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক বিআরডিবির পরিকল্পনা বিষয়ক পরিচালক মোঃ নিজাম উদ্দিন।
এতে বিগত একুশ বছরের কিঞ্চিত ইতিহাস তুলে ধরা হয়। দীর্ঘদিন যাবত এ সংগঠন ব্যক্তি পর্যায়ে পরিচালনা করা খুবই কঠুন। সামষ্টিক পর্যায়ের সালবাদিকদের প্রেসক্লাব আজ তালাবদ্ধ। অনেক প্রতিষ্ঠান আজ মামলায় জড়িয়ে পড়েছে। ভোরের আলোা আজ এককভাবে পরিচালিত হওয়ায় তা অব্যাহত গতিতেই চলছে। অনেক সাহিত্য সাংগঠন আজ নিষ্প্রভ। এক জায়গা থেকে ছুটে গিয়ে আরেক জায়গায় প্রতিষ্ঠা করতে হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু ভোরের আলো সংগঠনটি ২১বছর ধরে অব্যাহতভাবে চলে আসছে। এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন ভোরের আলো সাহিত্য আসরের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নিজাম উদ্দিন। তিনি আরো বলেনঃ গত ২২জুন অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক এডিসি মেজর (অবঃ) মোঃ নাসিমুল হক ও করিমগঞ্জর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্অন অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক মাখন তারা নিজেরাও ভোরের আলোর প্রতিষ্ঠাতা রেজাউল হাবিব রেজাকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা দিতে পারেন এবং সর্বোচ্চ পদকের জন্য প্রস্তাব পেশ করতে পারেন। এটা তার পাওনা, এটা তার অধিকার। রেজা রেজার সহায়তায় ইতিমধ্যেই কিশোরগঞ্জের ৯জন রাজাকারকে ফাঁসির দন্ডে দন্ডিত করতে পেরেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এটা স্বীকৃত সত্য। গত ২২ জুন-২০২৪ তারিখের রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সরব উপস্থিতিই তা প্রমাণ করে।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যের পর পরই শুরু হয় সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা। সাহিত্য নিয়ে কিছুটা আলোচনা করেন আবৃত্তিকার মোঃ আবদুল ওয়াহাব। তিনি সুন্দর এক আবৃত্তি উপস্থাপন করে সকলকে মুগ্ধ করেন। সাহিত্য আসরের প্রতিষ্ঠাতা ও যুদ্ধাপরাধ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী মো: রেজাউল হাবিব রেজা কবি নজরুল ইসলামের একটি কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী মাজহারুল ইসলাম, ইমরান হোসাইন, মাহদী হাসান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভোরের আলোর সহসভাপতি কবি ও ব্যাংকার বিমল চন্দ্র ভৌমিক, সাহিত্য সম্পাদক মূর্তাজা জামাল ও আলমগীর অলিক।
আলোচনা শেষে রেজাউল হাবিব রেজাকে রাষ্ট্রীয় পদকের দাবি জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন রেজাউল হাবিব রেজা।
Leave a Reply